কিছু উইন্ডোজ কিবোর্ড শর্টকাট যা প্রত্যেকের জানা দরকার :-
সকল অপারেটিং সিস্টেম ও প্রায় সব প্রোগ্রামেই দ্রুত কাজ করার জন্য কিবোর্ড শর্টকাট দেয়া থাকে। সচরাচর ব্যবহারকারীরা মাত্র গুটিকয়েক কিবোর্ড শর্টকাট মনে রাখেন। কিন্তু কাজের সুবিধার্থে দরকারী কিছু কিবোর্ড শর্টকাট মুখস্থ করে রাখলে জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই এই পোস্টে আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইন্ডোজ কিবোর্ড শর্টকাট ও সেগুলোর কাজ জানাচ্ছি, যা আপনার কম্পিউটারে কাজের গতি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে।
Ctrl+Z
উইন্ডোজ কম্পিউটারে কাজ করার সময় হঠাত ভুলে যদি কোনো ফাইল ডিলিট করে রিসাইকেল বিনে পাঠিয়ে দেন, তাহলে সাথে সাথে Ctrl এবং Z বাটন একত্রে চাপ দিন। এতে আপনার সেই মুছে যাওয়া ফাইল আগের স্থানে ফিরে আসবে। মাইক্রোসফট অফিস, ব্রাউজার সহ বেশিরভাগ প্রোগ্রামের সাথে (যেখানে ব্যবহারকারীর কিছু লেখা দরকার হয়) এই শর্টকাটটি কাজ করে। এটি মূলত সর্বশেষ সম্পন্ন কাজটিকে আনডু করে দেয়। Ctrl+Z যে কাজ করে, সেটিকে আনডু করতে Ctrl+Y চাপ দিতে পারেন।
উইন্ডোজ কম্পিউটারে কাজ করার সময় হঠাত ভুলে যদি কোনো ফাইল ডিলিট করে রিসাইকেল বিনে পাঠিয়ে দেন, তাহলে সাথে সাথে Ctrl এবং Z বাটন একত্রে চাপ দিন। এতে আপনার সেই মুছে যাওয়া ফাইল আগের স্থানে ফিরে আসবে। মাইক্রোসফট অফিস, ব্রাউজার সহ বেশিরভাগ প্রোগ্রামের সাথে (যেখানে ব্যবহারকারীর কিছু লেখা দরকার হয়) এই শর্টকাটটি কাজ করে। এটি মূলত সর্বশেষ সম্পন্ন কাজটিকে আনডু করে দেয়। Ctrl+Z যে কাজ করে, সেটিকে আনডু করতে Ctrl+Y চাপ দিতে পারেন।
Ctrl+W
এই কিবোর্ড শর্টকাটটি আপনার চালু থাকা উইন্ডো বন্ধ করে দেবে। আপনি যদি কোনো অফিস ডকুমেন্টে কাজ করতে থাকেন, তাহলে Ctrl+W চাপ দিলে প্রথমে আপনার ডকুমেন্টটি সেইভ করতে বলবে এবং তারপর এটি ক্লোজ করা যাবে।
এই কিবোর্ড শর্টকাটটি আপনার চালু থাকা উইন্ডো বন্ধ করে দেবে। আপনি যদি কোনো অফিস ডকুমেন্টে কাজ করতে থাকেন, তাহলে Ctrl+W চাপ দিলে প্রথমে আপনার ডকুমেন্টটি সেইভ করতে বলবে এবং তারপর এটি ক্লোজ করা যাবে।
Alt+F4
এটি চালু থাকা অ্যাপ বন্ধ করে দেবে। Alt+F4 শর্টকাটটি এক্টিভ উইন্ডোকেও ক্লোজ করে দেয়। তবে বোনাস হিসেবে, আপনি যদি ডেস্কটপের খালি জায়গায় ক্লিক করে Alt+F4 চাপ দেন তাহলে এটি পিসি বন্ধ, স্লিপ, হাইবারনেট, রিস্টার্ট প্রভৃতি করার অপশন দেখাবে।
এটি চালু থাকা অ্যাপ বন্ধ করে দেবে। Alt+F4 শর্টকাটটি এক্টিভ উইন্ডোকেও ক্লোজ করে দেয়। তবে বোনাস হিসেবে, আপনি যদি ডেস্কটপের খালি জায়গায় ক্লিক করে Alt+F4 চাপ দেন তাহলে এটি পিসি বন্ধ, স্লিপ, হাইবারনেট, রিস্টার্ট প্রভৃতি করার অপশন দেখাবে।
Ctrl+A
নিশ্চয়ই জানেন, এই শর্টকাটটি এক্টিভ উইন্ডোতে থাকা সকল কনটেন্ট সিলেক্ট করে। তারপর আপনি Ctrl+S চাপ দিয়ে সেভ, Ctrl+C চাপ দিয়ে কপি Ctrl+X চাপ দিয়ে কাট এবং Ctrl+V চাপ দিয়ে অন্য উইন্ডোতে গিয়ে পেস্ট করতে পারেন।
নিশ্চয়ই জানেন, এই শর্টকাটটি এক্টিভ উইন্ডোতে থাকা সকল কনটেন্ট সিলেক্ট করে। তারপর আপনি Ctrl+S চাপ দিয়ে সেভ, Ctrl+C চাপ দিয়ে কপি Ctrl+X চাপ দিয়ে কাট এবং Ctrl+V চাপ দিয়ে অন্য উইন্ডোতে গিয়ে পেস্ট করতে পারেন।
Win+D
উইন্ডোজ বাটন এবং D একত্রে প্রেস করলে আপনার ওপনে থাকা সকল উইন্ডো মিনিমাইজ বা হাইড হয়ে পিসির ডেস্কটপ চলে আসবে। পুনরায় Win+D চাপ দিলে প্রথমবার হাইড করা উইন্ডোগুলো আবার ফিরে আসবে।
উইন্ডোজ বাটন এবং D একত্রে প্রেস করলে আপনার ওপনে থাকা সকল উইন্ডো মিনিমাইজ বা হাইড হয়ে পিসির ডেস্কটপ চলে আসবে। পুনরায় Win+D চাপ দিলে প্রথমবার হাইড করা উইন্ডোগুলো আবার ফিরে আসবে।
Alt+Tab
এই শর্টকাট প্রেস করলে স্ক্রিনে আপনার সকল চালু থাকা অ্যাপের প্রিভিউ দেখা যাবে। সেখান থেকে দ্রুত কোনো একটা অ্যাপে ক্লিক করে সেটাতে কাজ করতে পারেন। Win+Tab শর্টকাটও প্রায় একই কাজ করে, তবে এখানে কীবোর্ড চাপ দিয়ে ছেড়ে দিলেও প্রিভিউগুলো থেকে যায়।
এই শর্টকাট প্রেস করলে স্ক্রিনে আপনার সকল চালু থাকা অ্যাপের প্রিভিউ দেখা যাবে। সেখান থেকে দ্রুত কোনো একটা অ্যাপে ক্লিক করে সেটাতে কাজ করতে পারেন। Win+Tab শর্টকাটও প্রায় একই কাজ করে, তবে এখানে কীবোর্ড চাপ দিয়ে ছেড়ে দিলেও প্রিভিউগুলো থেকে যায়।
Win+L
এটি আপনার পিসির স্ক্রিন লক করে দেবে। ফলে পিসি আবার ব্যবহার করতে চাইলে পাসওয়ার্ড এন্টার করে আনলক করে নিতে হবে। পাসওয়ার্ড আগে থেকে দেয়া না থাকলে শুধু সাইন-ইন বাটনে ক্লিক করে এন্টার দিলেই হবে।
এটি আপনার পিসির স্ক্রিন লক করে দেবে। ফলে পিসি আবার ব্যবহার করতে চাইলে পাসওয়ার্ড এন্টার করে আনলক করে নিতে হবে। পাসওয়ার্ড আগে থেকে দেয়া না থাকলে শুধু সাইন-ইন বাটনে ক্লিক করে এন্টার দিলেই হবে।
Win+PrtScn
এই শর্টকাট আপনার পিসির পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নিয়ে সি ড্রাইভের পিকচার্স ফোল্ডারে একটি ইমেজ আকারে সেইভ করে রাখবে। আর ক্লিপবোর্ডেও ছবিটি থাকবে, যা পেইন্ট প্রোগ্রাম ওপেন করে পেস্ট করে এডিট করতে পারবেন।
এই শর্টকাট আপনার পিসির পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নিয়ে সি ড্রাইভের পিকচার্স ফোল্ডারে একটি ইমেজ আকারে সেইভ করে রাখবে। আর ক্লিপবোর্ডেও ছবিটি থাকবে, যা পেইন্ট প্রোগ্রাম ওপেন করে পেস্ট করে এডিট করতে পারবেন।
Ctrl+Alt+Del
পিসি হ্যাং করলে এই বিখ্যাত শর্টকাটটি চেপে উইন্ডোজের টাস্ক ম্যানেজার প্রোগ্রাম চালু করার অপশন পাবেন। সেখান থেকে হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ করা যাবে। এছাড়া পিসি লক করা, বন্ধ করা কিংবা সাইনআউটের অপশনও পাওয়া যাবে।
পিসি হ্যাং করলে এই বিখ্যাত শর্টকাটটি চেপে উইন্ডোজের টাস্ক ম্যানেজার প্রোগ্রাম চালু করার অপশন পাবেন। সেখান থেকে হ্যাং হওয়া অ্যাপ বন্ধ করা যাবে। এছাড়া পিসি লক করা, বন্ধ করা কিংবা সাইনআউটের অপশনও পাওয়া যাবে।
CTRL+C: কপি।
CTRL+X: কাট।
CTRL+V: পেস্ট।
CTRL+Z: আনডু।
CTRL+B: অক্ষর বোল্ড করা।
CTRL+U: অক্ষর আন্ডার লাইন করা।
CTRL+I: অক্ষর ইটালিক করা।
CTRL+K: হাইপারলিংক ডায়ালগ ওপেন হওয়া।
CTRL+ESC: Start menu চালু।
CTRL+ Home: ডকুমেন্ট এর শুরুতে যাওয়া।
CTRL+ End: ডকুমেন্ট এর শেষে যাওয়া।
CTRL+SHIFT+ESC: টাস্ক ম্যানেজার।
CTRL+TAB: কোনো প্রোগ্রামের এক উইন্ডো থেকে অন্য উইন্ডোতে যাওয়া।
CTRL+F4: একাধিক ডকুমেন্ট ইন্টারফেস সহ কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা।
CTRL+A: ফোল্ডারের সবগুলো আইটেম নির্বাচন করা।
SHIFT+ DELETE: সরাসরি ফাইল ডিলিট করা।
SHIFT+ right click: অতিরিক্ত শর্টকাট সহ মেনু।
SHIFT+ double click: বিকল্প ডিফল্ট কমান্ড।
SHIFT+F10: নির্বাচিত আইটেমের জন্য শর্টকাট মেনু।
SHIFT: অটোরান বন্ধ করতে এটি চেপে ধরে রাখুন।
SHIFT+ Windows Logo + M: মিনিমাইজ আনডু করা।
Home: বর্তমান লাইনের শুরুতে যাওয়া।
End: বর্তমান লাইনের শেষে যাওয়া।
ALT+ F4: প্রোগ্রাম বন্ধ করা।
ALT+TAB : অন্য কোনো চালু করা প্রোগ্রামে যাওয়া (সবগুলো প্রোগ্রাম দেখতে ALT চেপে ধরে TAB চাপুন)।
ALT+ SPACE: মেইন উইন্ডো’র সিস্টেম মেনু দেখা।
Windows Logo +L: কম্পিউটার লক করা।
Windows Logo+ M: সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ করা।
Windows Logo+F: Files অথবা Folders খোজাঁ।
Windows Logo+V: ক্লিপবোর্ড চালু করা।
Windows Logo+K: Keyboard Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা।
Windows Logo+I: Mouse Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা।
BACKPACE: পূর্ববর্তী ফোল্ডারে যাওয়া, (ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্ষেত্রে পুর্বের পেইজ এ যাওয়া )
Comments :
Post a Comment